ডেস্ক রিপোর্টঃ
আশি, নব্বই দশকে সিনেমায় নায়ক-নায়িকার পর দর্শকমহলে যে চরিত্রটি জনপ্রিয় ছিল সেটি হলো কমেডি চরিত্র। প্রেক্ষাগৃহে দর্শক মাতাতে ও সিনেমায় হাস্যরস তৈরিতে এ চরিত্রে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যেত কৌতুক অভিনেতা দিলদারকে।
১৯৪৫ সালের ১৩ জানুয়ারি চাঁদপুরে জন্মগ্রহণ করেন দিলদার। ব্যক্তিজীবনে এসএসসি পাশ করার পর পাঠ্য জীবনের ইতি টানেন। অভিনয়ের প্রতি টান থাকায় দেশ স্বাধীন হওয়ার এক বছর পর চলচ্চিত্রে নাম লেখান।
অমল বোস পরিচালিত প্রথম ও একমাত্র সিনেমা‘কেন এমন হয়’ সিনেমাতে অভিনয়ের মাধ্যমে ঢালিউডে পা রাখেন দিলদার। প্রথম সিনেমাতেই নিজের অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রাখেন।
এরপর একে একে নিজেকে কৌতুক চরিত্রে অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন। উপহার দেন ‘বেদের মেয়ে জোসনা’, ‘বিক্ষোভ’, ‘অন্তরে অন্তরে’, ‘কন্যাদান’, ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘শুধু তুমি’, ‘স্বপ্নের নায়ক’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘অজান্তে’, ‘প্রিয়জন’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘বিচার হবে’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’র মতো ব্যবসা সফল সিনেমা।
দর্শক জনপ্রিয়তায় ‘আব্দুল্লাহ’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে নায়ক হিসেবে অভিষেক হয় দিলদারের। এ সিনেমায় দিলদারের নায়িকা ছিলেন চিত্রনায়িকা নূতন। দর্শকপ্রিয়তায় সিনেমাটি ব্যবসা সফল সিনেমার তালিকায় স্থান পায়।২০০৩ সালের ১৩ জুলাই আজকের এ দিনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এ কমেডি সুপারস্টার। তার মৃত্যুর পর ঢাকাই সিনেমাতে তার মতো শক্তিশালী কৌতুক অভিনেতার আবির্ভাব ঘটেনি। ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার শূন্যতা এখনো ভোগায় নির্মাতাদের। যে কারণে মৃত্যুর পরও এ কমেডি অভিনেতা আজও জীবন্ত হয়ে আছেন দর্শক হৃদয়ে।প্রসঙ্গত, বরেণ্য কৌতুক অভিনেতা দিলদার ২০০৩ সালে ‘তুমি শুধু আমার’ চলচ্চিত্রের জন্য সেরা কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
Leave a Reply